শিশির কুমার বড়াল
প্রধান শিক্ষক
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে একটি আলোচিত বিষয়। এর মূল লক্ষ্য, একুশ শতকে বাংলাদেশকে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করা।
আচ্ছা আমরা একটু চিন্তা করে দেখি! বর্তমানে যদি ক্যালকুলেটর না থাকতো তাহলে কত মুশকিল হতো! অফিস-আদালত, ব্যাংক, কল-কারখানা সব জায়গাতে হিসেবের ক্ষেত্রে কতো ঝামেলা হতো। কাগজ কলমে হিসাব দিতে দীর্ঘ সময় লাগতো। তারপরেও প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু ক্যালকুলেটর আবিষ্কার হওয়ায় হিসাব-নিকাশ সহজ হয়ে গেছে ।
মুহূর্তের মাধ্যমে হাজার, লাখ, কোটি টাকা হিসাব করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রত্যেকটি মোবাইলে ক্যালকুলেটর সেট করে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত কোটি কোটি লোক উপকৃত হচ্ছে। তদ্রুপ ভাবে Edu Systems সফটওয়্যারটি ব্যবহারে কত উপকৃত হতে পেরেছি তা এখন ভালো করে উপলব্দি করতে পেরেছি।
যদি বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই Edu Systems সফটওয়্যারটি ব্যবহার শুরু করে তাহলে দ্রুত সুফল বয়ে আনবে। যেমন ক্যালকুলেটর আবিষ্কারে করে সবাই উপকৃত হয়েছে তেমনি Edu Systems সফটওয়্যার ইউজ করে প্রত্যেকে উপকৃত হতে পারবেন।
এই Edu Systems সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ফলাফল মার্কশীট সহ প্রকাশ করা, গ্রেড প্রদান করা, অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা, ডিজিটাল হাজিরা রেকর্ড করা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা, স্কুল ফি, ১ মিনিটে আইডি কার্ড প্রিন্ট, ক্লাশ রুটিন, পরীক্ষার রুটিন, প্রবেশ পত্র সহ নানা কাজ করতে সহায়তা পাচ্ছি।
এ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আপনাদের বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। যেমন- সময় বাঁচবে, একাডেমিক কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে, নিখুঁত ভাবে কাজ সম্পন্ন করা, খরচ কমাতে সহায়তা করা, অল্প স্থানে কাজ করা, সহজে তথ্য আপডেট করা ইত্যাদি ।
মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তাক লাগাতে চান তাহলে স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার টি আপনার জন্য। আপনাদের যথাযোগ্য ব্যবহারের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতে পারে।
এই সফটওয়্যার ব্যবহারের আপনাদের সময় বাঁচাবে। প্রতিষ্ঠানে আরো অনেক সময় দেওয়া সম্ভব হবে। বিভিন্ন উৎপাদনশীল কাজে মশগুল হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
প্রত্যেকটি শিক্ষককে একাডেমিক কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু তাদেরকে শিক্ষার্থীর পাঠ উন্নয়নের বদলে নানাবিধ ব্যবস্থাপনার কাজ করতে হয় যেমনঃ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর কাগজে প্রাপ্ত নম্বর ফর্দ -এ একবার লেখা ও পরবর্তীতে ম্যানুয়ালি রেজাল্ট তৈরি, অধিক সময় ব্যয় আর নিরীক্ষণের মাধ্যমে ফল প্রকাশ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীর হাজিরা রেকর্ড, শিক্ষার্থীর বেতন/পরীক্ষার ফিস গ্রহণ এবং আরও বিভিন্ন কাজ করে সময় চলে যায়। অথচ সেই কাজগুলো যদি সফটওয়্যার মাধ্যমে করলে নিমিষেই নিখুঁতভাবে হয়ে যায় আবার হার্ডকপি সংরক্ষণ ও পরবর্তীতে হারিয়ে যাবার ঝামেলা নাই। আশা করি আমার মত অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অনুধাবন করে দ্রুত ব্যবহার শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠ উন্নয়নে মনযোগী হবেন সবশেষে Edu Systems (www.bd.education) -এর প্রতি কৃতজ্ঞতা।